• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Section 144 Impose

দেশ

হিজাব বিতর্কের মধ্যেই কর্নাটকে খুন বজরং দলের নেতা

হিজাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল কর্নাটকের শিবমোগায়। অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ খুন হন বজরং দলের যুব কর্মী হর্ষ। কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই শিবমোগা শহরের সিগেহাট্টি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, চলতি হিজাব বিতর্কের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত নয়। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের তদন্তে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় র্যা ফ নামানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে অন্তত চার থেকে পাঁচ জন জড়িত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পা ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন এশ্বরাপ্পা। তাঁর দাবি, হিজাব মামলার রেশ ধরে কংগ্রেসই এই হত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, হর্ষ একজন সমাজকর্মী ছিলেন। সৎ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।সম্প্রতি ডিকে শিবকুমার দাবি করেছেন জাতীয় পতাকা বদলে গেরুয়া পতাকা লাগানো হচ্ছে। হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের জন্য সুরাতের একটি কারখানা থেকে ৫০ লক্ষ গেরুয়া শালের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পার দাবি, ডিকে শিবকুমারের এই সব মন্তব্যের পরই দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে কর্নাটকে। হর্ষ নামে মৃত যুবকের পরিবারকে সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন এশ্বরাপ্পা।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
দেশ

Mumbai Omicron: ওমিক্রন আক্রান্ত ১৭, মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা

মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা।মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এক দিনেই তিন জন আক্রান্তের হদিশ মেলায় এ বার বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মুম্বই পুলিশ। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। দুদিনের জন্য কোনও বড় জমায়েত, মিছিল করা যাবে না। শনিবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে ৪৮ ঘণ্টার জন্য। অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।শুক্রবার সাড়ে তিন বছরের একটি শিশু-সহ সাত আক্রান্তকে চিহ্নিত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের মধ্যে তিন জন তানজানিয়া, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সম্প্রতি মুম্বইয়ে ফিরেছেন। রাজ্যের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে মুম্বইয়ে পাঁচ জনের দেহে এই ভাইরাস মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুম্বই, পুণে এবং নাগপুর বিমানবন্দর দিয়ে ৬১ হাজার ৪৩৯ জন বিদেশ থেকে মহারাষ্ট্রে ঢুকেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ হাজার ৬৭৮ জন ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মুম্বইয়ে যে সাত জনের দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে, তাঁদের মধ্যে চার জনের দুটি টিকা নেওয়া ছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। অন্য দিকে, বাকি তিন জনের দেহে মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

WB By-poll: ৩৫ কোম্পানির ঘেরাটোপে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু ভোটগ্রহণ

রাজ্যের তিন কেন্দ্রের বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে উপনির্বাচন। ভবানীপুর আসন ছাড়াও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে আজ। তবে নজরে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুর। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত হন মমতা। সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ট দলের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে। সেই মর্মেই ভবানীপুর আসনে জয়ী রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। সেই আসন থেকেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে ঘিরে আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকাজুড়ে। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করেছে মোট ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।আরও পড়ুনঃ বেড ঘাটতির কারণে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ঠাঁই হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালের মেঝেতেঅন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই ওই দুটি কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বাম প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত ছিল ভোট।বৃহস্পতিবার ভোটে জঙ্গিপুরে লড়াই ত্রিমুখী। তৃণমূলের জাকির হোসেন, বিজেপির সুজিত দাস এবং আরএসপি প্রার্থী হিসেবে আছেন জানে আলম মিয়া।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur By Poll: হাইভোল্টেজ ভবানীপুর, আজ থেকেই জারি ১৪৪ ধারা

উপনির্বাচনের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগের দিন নয়, বরং ভোটগ্রহণের ২ দিন আগেই ১৪৪ ধারা জারি করা হল ভবানীপুরে। বৃহস্পতিবার সবকটি বুথে হবে ওয়েবকাস্টিং। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর তেমনই। এদিকে এই উপনির্বাচন নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন হাইকোর্টে মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে স্রেফ ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন? নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তিতে আপত্তি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত দিনে, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরই ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভোটের পর ১৭ নভেম্বর যখন মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে বলে খবর, তখন আবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দিন পরিস্থিতি কেমন থাকবে? ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবারই এলাকায় পৌঁছে যাবেন জওয়ানরা। সাধারণত ভোটের আগের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে কমিশন। ভবানীপুরের ক্ষেত্রে সেই নিয়মেরও ব্যতিক্রম ঘটল। কমিশন সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে প্রত্যেকটি বুথ ও আশেপাশের ২০০ পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। আরও পড়ুনঃ জল্পনা সত্যি করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া-জিগনেশপ্রতিটি বুথে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে ভবানীপুর আসনে ২৮৭ টি বুথের জন্য হাফ সেকশন অর্থাৎ তিন জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া এলাকায় টহল দেবে কুইক রেসপন্স টিম। অন্য দিকে, বুথের বাইরে এবং এলাকার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুলিশ। প্রতিটি থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার মর্যাদার পুলিশ কর্তা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আগামীকাল সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮টি জায়গায় থাকবে পুলিশ-পিকেট। শুধু ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নটি জায়গায় হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডমোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকছে ২৩টি আরটি মোবাইল ভ্যান।ভবানীপুর ছড়াও ঐদিন জঙ্গিপুরে ৩৬৩টি এবং সামশেরগঞ্জে ৩২৯টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভবানীপুরে ১৫, জঙ্গিপুরে ১৮ এবং সামশেরগঞ্জে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক, দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং দুজন সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
দেশ

Lord Jagannath: ভক্তদের অনুপস্থিতিতে শুরু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা

গতবছর করোনার (Corona Pandemic) প্রথম ঢেউয়ের কারণে ইতিহাসে প্রথমবার ভক্তদের ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ দেবের (Lord Jagannath) স্নানযাত্রা। বছর ঘুরতেও ছবিটা বদলাল না। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হলেও আছড়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর তাই রথযাত্রার আগে রীতি মেনে এবারেও জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হলেও, তাতে থাকছেন না কোনও ভক্ত। এমনকী, রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মচারী কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় থাকবেন না পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেবও। যদিও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রীতি মেনে সমস্ত কিছুর আয়োজন শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্নানযাত্রায় অনূর্ধ্ব ৫০০ জন সেবায়েত কোভিড-পরীক্ষা করিয়ে আচার সম্পন্ন করার অনুমতি পেয়েছেন।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীরকথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর এই পূণ্যতিথিটিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন মনু। সেই জন্মদিন উপলক্ষে পৌরাণিক কাল থেকে এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে আজও। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম পূর্ণিমাতেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন গর্ভগৃহ থেকে মূর্তি তুলে এনে স্নান মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। সেখানেই সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পাশাপাশি চলে মূর্তির সাজসজ্জা-অলঙ্করণ ইত্যাদি। ১০৮ ঘড়া জলে স্নানের পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। তাই এইসময় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন। রথ পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। তাই ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। এই কয়েকদিন পুজোও হয় না তাঁর। রীতিমত কম্বল চাপা দিয়ে পড়ে থাকেন জগতের নাথ। তবে রথযাত্রার দিন রাজবেশে রথে করে তিনি যাবেন মাসির বাড়িতে। এ বার তা সম্পন্ন হবে ১২ জুলাই।তবে তার আগে এই স্নান যাত্রার আয়োজনে কোথাও কোনও খামতি রাখেনি মন্দির প্রশাসন। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে যেমন কোনও ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না, তেমনই জগন্নাথ দেবের স্নান দেখতেও কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদিও, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা গোটা বিশ্বে লাইভ স্ট্রিম করা হবে বলে জানিয়েছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রাজা দিব্যসিংহ দেবের অনুপস্থিতিতে তাঁরই এক প্রতিনিধি হিসেবে নির্দিষ্ট রীতি পালন করে সোনার ঝাড়ু দিয়ে স্নানবেদী পরিষ্কার করবেন বলেই খবর। কারণ কোভিডবিধি মেনে আপাতত নিভৃতাবাসে রয়েছেন রাজা দিব্যসিংহ দেব। এদিকে, ১৪৭৫টি আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগালেন ওডিশার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়েক। তাঁর কীর্তি দেখে অবাক নেটিজেনরাও।

জুন ২৪, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal